ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য অভয়ারণ্য, যেখানে প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণের অপূর্ব মেলবন্ধন দেখা যায়। প্রতিটি অভয়ারণ্য নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, অসম: ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানটি একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পাওয়া এই উদ্যানে হাতি, বাঘ, হরিণসহ নানা প্রজাতির প্রাণী দেখা যায়।
গির জাতীয় উদ্যান, গুজরাট: ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানটি এশিয়াটিক সিংহের একমাত্র আবাসস্থল। এছাড়াও চিতল, নীলগাই, চিতাবাঘসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে এখানে।
সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, পশ্চিমবঙ্গ: ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ম্যানগ্রোভ বনটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও কুমির, হরিণ, নানা প্রজাতির পাখি ও মাছের জন্য এটি পরিচিত।
কানহা জাতীয় উদ্যান, মধ্যপ্রদেশ: ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানটি বারসিঙ্গা হরিণের জন্য প্রসিদ্ধ। এছাড়াও বাঘ, চিতাবাঘ, হাতি, গৌরসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেখা মেলে এখানে।
পেরিয়ার জাতীয় উদ্যান, কেরালা: ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানটি হাতি ও বাঘের জন্য পরিচিত। এছাড়াও চিতাবাঘ, সম্বর হরিণ, নীলগিরি তারসহ নানা প্রাণী ও পাখির আবাসস্থল এটি।
প্রতিটি অভয়ারণ্যই প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণের অপূর্ব সমন্বয়, যা প্রকৃতিপ্রেমী ও রোমাঞ্চপ্রিয় ভ্রমণার্থীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য। তবে ভ্রমণের সময় স্থানীয় নিয়মাবলী ও পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত, যাতে এই প্রাকৃতিক ধনসম্পদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুরক্ষিত থাকে।