কয়েকদিন আগে গাজা নিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শের সেই নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও। আবারো একবার গাজা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, “আমরা গাজা নিয়ে নেব। আমাদের কেনার কোনও দরকার নেই। কেনার কী আছে। গাজা আমাদের হবে, আমরা গাজা নিয়ে নেব। আমাদের অধীনে থাকে গাজা। আমদের সেটা ভালো লাগবে।”
কয়েক সপ্তাহ আগেই ট্রাম্পের মধ্যস্থতা এবং চেষ্টায় গাজায় যুদ্ধ বিরোধী কার্যকর হয়।। তবে আবারো ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাসের হাতে বন্দি থাকা বাকি ইজরায়েলিদের অবিলম্বে মুক্তি না দেওয়া হলে বাতিল করে দেওয়া প্রয়োজন যুদ্ধবিরতি চুক্তি। ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য শনিবার মধ্য দিবস পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সময়মতো বন্দীদের মুক্তি না দিলে সব ওলট-পালট করে দেওয়া হবে। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, যুদ্ধ বিরোধী বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেবে ইজরায়েল।
প্রসঙ্গত ইতিপূর্বে কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘন্টার আলাপ আলোচনার পর ইজরায়েল এবং হামাসকে যুদ্ধ বিরতির জন্য রাজি করানো হয়। ছয় সপ্তাহ এই যুদ্ধ বিরোধী কার্যকর থাকবে আপাতত এখনো পর্যন্ত গাজায় হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে ৯০ জনেরও বেশি ইজরায়েলি। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প বলেন, “আমরা আশা করি এমন কিছু করতে পারব যাতে প্যালেস্তিনীয়রা গাজায় আর না ফিরে যেতে চাইবে না। আমরা যদি এই মানুষদের ভালো জায়গায় পুনর্বাসন করে দিতে পারে, স্থায়ীভাবে… সুন্দর বাড়ি থাকবে। তারা সেখানে খুশি থাকবে। এবং সেখানে তাদের কেউ হুলি করবে না, ছুরি মেরে খুন করবে না। যা এখন গাজায় চলছে…”। হোয়াইট হাউজ প্রেস সচিবকে জানান, “প্রেসিডেন্ট গাজায় সেনা পাঠানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর নন। তিনি সেনা পাঠাবেন বলে বলেননি।”
আর রুবিও বলেন, “যা হবে অন্তর্বর্তী ভাবে হবে। নিশ্চিত ভাবে যখন একটা জায়গা তৈরি করা হচ্ছে, তখন সেখানকার মানুষ অন্য কোথায় থাকবেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও এমনটাই হয়। ট্রাম্প যেটা বলেছেন, সেটা হল… আমেরিকা সেখানে গিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরাতে সাহায্য করতে পারবে। সেখানে পুননির্মাণে সাহায্য করতে পারবে।”