ভারতের ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে জাদুতে মোহিত বহু দেশ। তাইতো ভারতের থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে আগ্রহী বহু দেশ! ব্রহ্মোসের প্রথম আন্তর্জাতিক গ্রাহক ফিলিপাইন। গত বছর থেকে ডেলিভারিও শুরু হয়েছে যৌথভাবে ব্রহ্মোস তৈরি করেছে ভারত ও রাশিয়া। এর গতি শব্দের গতির চেয়ে তিনগুণ বেশি। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির জন্য একটি দেশের সাথে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম, মিশর এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফিলিপাইন ইতিমধ্যেই ব্রহ্মোস কেনার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির সরবরাহও গত বছর শুরু হয়েছে। শব্দের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত গতিতে ভ্রমণকারী বিশ্বের একমাত্র সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস কেনার জন্য ইন্দোনেশিয়ার আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে অন্য একটি দেশের সাথে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিরক্ষা খাত সূত্রে খবর, চুক্তিটি সংবেদনশীল হওয়ায়, যে দেশের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে তার নাম গোপন রাখা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং ভিয়েতনামও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য আলোচনা করছে। ক্ষেপণাস্ত্রটির স্থল সংস্করণে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি। জানা গিয়েছে যে, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে চুক্তিটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে যখন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন। তাই তখন মনে করা হয়েছিল, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা গতি পাবে।
গত বছর ফিলিপাইনে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ শুরু করে ভারত। ফিলিপাইন এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম আন্তর্জাতিক গ্রাহক। এই চুক্তিটি ছিল জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উপকূলীয় সংস্করণের জন্য, যার পাল্লা ২৯০ কিলোমিটার।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সহযোগিতায় ভারত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। এটি শব্দের গতির চেয়ে তিনগুণ দ্রুত গতিতে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নৌবাহিনী, সেনা এবং বিমান বাহিনীর জন্য খুবই কার্যকর। ভারতের কাছে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি সংস্করণই রয়েছে – ভূপৃষ্ঠ, সমুদ্র এবং আকাশ। এটি জাহাজেও আক্রমণ করতে পারে। এটি ভারতের ডিআরডিও এবং রাশিয়ার এনপিও মিশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদী এবং রাশিয়ার মস্কভা নদীর নাম একত্রিত করে নামকরণ করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটির। এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম।