নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন ১৮ জন। মৃতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন মহিলা এবং ৩ জন শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। আহত অবস্থায় আরও ১০ জন চিকিৎসাধীন। রবিবারের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, বৈঠক শেষে অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলভবনে পৌঁছে যান। দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ টিম স্টেশনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ১২, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রকের তরফে ঘটনার তদন্তে দুই সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা স্টেশনে পৌঁছে নজরদারি চালিয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তাঁরা।
এদিকে, দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা, স্পেশাল সিপি রবিন হিব্বু, স্পেশাল সিপি এলঅ্যান্ডও রবীন্দ্র যাদব এবং জয়েন্ট সিপি বিজয় সিং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে রেলওয়ে ডিসিপি অফিসে বৈঠকে বসেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে হাজার হাজার যাত্রী ট্রেন ধরতে এসে ভিড় জমিয়ে ফেলেন। হুড়োহুড়ির ফলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মুহূর্তেই মৃত্যু হয় ১৮ জনের। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত এলএনজেপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যাত্রীদের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, স্টেশনে প্রবল ভিড়ের জেরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হতেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। তবে, ঘটনার পরপরই রেলমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়, নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও দাবি করেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।