মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা ‘জবাবি শুল্ক’ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ অনুযায়ী, যে দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যে হারে শুল্ক আরোপ করবে, আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যের ওপর সমান হারে শুল্ক আরোপ করবে। ভারতের ক্ষেত্রে, মার্কিন বাইকের ওপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা হয়, যেখানে আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর মাত্র ২.৪% শুল্ক আরোপ করে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পারস্পরিক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে উভয় দেশের ব্যবসা ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভারতের ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় এই শুল্ক নীতি বাধা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এটি রপ্তানি ও বিনিয়োগে প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, এই শুল্ক নীতি এখনই কার্যকর হবে না বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে। এতে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার সুযোগ রয়েছে, যা বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক মার্কিন সফরে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে উভয় নেতা বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, উভয় দেশের উচিত পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে শুল্ক ও বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করা, যাতে উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকে এবং মোদীর ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্য পূরণে সহায়তা হয়।