চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতেই বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি দলকে কিছুটা হলেও সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে দেয়। ২২৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্য ২২৯ রান।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, তা প্রমাণ হয়ে যায় প্রথম দশ ওভারেই। ভারতীয় পেসারদের তোপে মাত্র ৩৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মহম্মদ সামির বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ধাক্কা খান টাইগাররা। মাত্র ২৮ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল, লিটন দাস, শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন জাকের আলি ও তৌহিদ হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তাঁরা। তবে বাংলাদেশি ব্যাটারদের এই দারুণ লড়াইয়ের মাঝেও ভারতের ফিল্ডিং কিছুটা হতাশাজনক ছিল। ক্যাচ মিস, স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া—এসবের সুযোগ নিয়েই ম্যাচে ফিরতে থাকে বাংলাদেশ।
জাকের আলি ৯৪ রানে আউট হলেও তৌহিদ হৃদয় তাঁর ওডিআই কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ফেলেন। ক্র্যাম্পের কারণে দুইবার খেলা থামাতে হয় তাঁকে, তবু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ১০০ রান করে শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন হৃদয়। ভারতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন মহম্মদ সামি, তিনি পাঁচ উইকেট দখল করেন। এছাড়াও হর্ষিত রানা তিনটি ও অক্ষর প্যাটেল দুটি উইকেট নেন।
এখন ভারতীয় ব্যাটারদের সামনে সহজ লক্ষ্য ২২৯ রান। তবে পিচে কিছুটা টার্ন রয়েছে, যা স্পিনারদের সাহায্য করতে পারে। বাংলাদেশের বোলাররা যদি ভালো লাইন-লেংথ বজায় রাখেন, তাহলে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হতে পারে। ভারতের জন্য শুরুটা ভালো করাটা অত্যন্ত জরুরি।