শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে। শুক্রবার আদালতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রত্নাকে ‘ড্রামাবাজ’ বলে কটাক্ষ করলে, এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন রত্না। তিনি জানান, একসময় কল্যাণবাবুই তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুই শোভনকে ডিভোর্স দিবি না, বৈশাখী অত্যন্ত বাজে মেয়ে, অনেকের ঘর ভেঙেছে।’
রত্নার অভিযোগ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে এখন শোভনের হয়ে মামলা লড়ছেন এবং তাঁকে আক্রমণ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই কল্যাণবাবুই একদিন কোর্টে দাঁড়িয়ে আমাকে বলেছিলেন, দুলালদার (রত্নার বাবা) দুঃখ আমি বুঝি। আমি জানি তিনি কতটা কষ্টে আছেন। অথচ আজ তিনি আমাকে ‘ড্রামাবাজ’ বলছেন।’’
শুধু তাই নয়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে রত্না বলেন, উনি যখন আমার বাবার হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি জানেন, তখন তাঁর বয়সটাও জানা উচিত। আমার বাবা ৮০ বছরের বৃদ্ধ, তাঁর সন্তান ও স্ত্রী মারা গেছেন, অথচ এখনও মনের জোরে রাজনৈতিক পদ সামলাচ্ছেন।
শোভন-বৈশাখীর হয়ে মামলা লড়তে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে কঠোর ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রত্না। তিনি স্পষ্ট বলেন, শুধু টাকা নিলেই মিথ্যে কথা বলা যায় না। আমার সঙ্গে ভগবান আছেন, বাকিদের দরকার নেই।
রত্নার দাবি, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কখনও তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেননি, বরং আট বছর ধরে তাঁর পাশে থেকেছেন। তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত সত্যি কথা বলা, মিথ্যে প্রচার না করা।
রাজনৈতিক মহলে এই বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আদালত থেকে রাজনীতির ময়দানেও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রত্নার এই বিস্ফোরক অভিযোগে নতুন মোড় নিল শোভনের বিচ্ছেদ মামলা।