২০২৪ সালে ভারতের খুচরো বাজার রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮২ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার, ই-কমার্স খাতের দ্রুত বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের পরিবর্তিত কেনাকাটার অভ্যাস এই সাফল্যের প্রধান চালিকাশক্তি।
ভারতের খুচরো বাজারের এই দ্রুত সম্প্রসারণের পিছনে একাধিক কারণ কাজ করছে। অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলোর বিস্তার, নগদবিহীন লেনদেনের জনপ্রিয়তা এবং গ্রামীণ অঞ্চলেও আধুনিক খুচরো বিক্রেতাদের প্রবেশ—সব মিলিয়ে খুচরো বাণিজ্যের আকার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির উন্নতির ফলে গ্রাহকরা এখন আরও বেশি করে অনলাইন ও অফলাইন দু’ধরনের বিক্রয় চ্যানেলের সুবিধা নিচ্ছেন। ই-কমার্সের প্রসার যেমন শহরাঞ্চলে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে, তেমনই গ্রামীণ বাজারেও ডিজিটাল কেনাকাটার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছরে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অনলাইন কেনাকাটার পরিধি বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ফিনটেক পরিষেবাগুলোর প্রসার, ডিজিটাল পেমেন্টের সহজলভ্যতা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অনলাইন কেনাবেচা খুচরো বাজারের সম্প্রসারণকে আরও গতিশীল করেছে।
এছাড়া, সরকারের বিভিন্ন নীতি ও সংস্কার, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) নীতির শিথিলতা এবং স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশও বাজার বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোও এখন ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা দেশের খুচরো বাণিজ্যের ভবিষ্যতকে আরও উজ্জ্বল করছে।
আগামী কয়েক বছরে এই প্রবৃদ্ধি আরও জোরদার হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রযুক্তির আরও উন্নতি, গ্রাহক চাহিদার পরিবর্তন এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর নতুন কৌশল ভারতের খুচরো বাজারকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।