মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বাণিজ্য নীতি নিয়ে সরব হলেন। সম্প্রতি এক বক্তৃতায় তিনি ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর “রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ” বা পাল্টা শুল্ক বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার মতে, এই দেশগুলো মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করছে, যা অন্যায্য। তাই ক্ষমতায় ফিরলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় একইভাবে পাল্টা শুল্ক বসাবেন।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা যদি কারও কাছ থেকে গাড়ি কিনতে যাই, তারা আমাদের ১০০% শুল্ক নেয়, অথচ তারা যখন আমাদের দেশে পণ্য পাঠায়, তখন আমরা কোনো শুল্ক নিই না। এটা হতে পারে না।” এর মাধ্যমে তিনি মূলত ভারত ও চীনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে আমদানি শুল্ক তুলনামূলক বেশি।
বক্তৃতার সময় তিনি মজার ছলেই “এপ্রিল ফুল” প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন। তবে তার বক্তব্য স্পষ্ট ছিল—মার্কিন স্বার্থরক্ষায় তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর অর্থনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে, কারণ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাস্তবায়িত হলে ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোর রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, গাড়ি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন বাজারে প্রবেশ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। যদিও হোয়াইট হাউস বা বাইডেন প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য মহলে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
