বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে একটি ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বিএনপি, এবং জামায়াত-ই-ইসলামী একে অপরের সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে তর্কে লিপ্ত। এই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আগামী নির্বাচন, বিশেষ করে গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এনসিপির দাবি, দেশে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন জরুরি। তারা মনে করে, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা যেতে পারে এবং এই নির্বাচন দুটি একে অপরকে পিছিয়ে না দিয়ে একসঙ্গে আয়োজন করা উচিত। এনসিপির নেতা আরিফুল আসলাম আদিব বলেছেন, “এ দুটি নির্বাচন একসঙ্গে হলে, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নতুন সংবিধান তৈরির জন্য ম্যান্ডেট পাবেন।”
অন্যদিকে, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের পক্ষে। তাদের বক্তব্য, গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া উচিত নয় এবং জাতীয় নির্বাচন পেছানো উচিত নয়। বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “এখন যে কেউ যা বলবে, তা পূরণের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন।”
এদিকে জামায়াত-ই-ইসলামী তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছে, তারা প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। জামায়াত মনে করে, স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে এবং এই নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে তা সুষ্ঠু হতে পারে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, “স্থানীয় নির্বাচন ধাপে ধাপে হবে, তাই জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জুন মাসের মধ্যে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।”
এভাবে, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিভক্তি স্পষ্ট হচ্ছে, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তর্ক চলছে কিভাবে এবং কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।