আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ভারতের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে উঠেছে হার্দিক পাণ্ডিয়ার চোট। সেমিফাইনালে পাণ্ডিয়াকে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা গিয়েছিল। চোট কতটা গুরুতর তা এখনো স্পষ্ট না হলেও, তাঁর ফাইনালে খেলা অনিশ্চিত। হার্দিক পাণ্ডিয়া না খেললে ভারতের প্রথম একাদশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। অলরাউন্ডার হিসাবে হার্দিক দলের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের ভারসাম্য রক্ষা করেন। তাই তাঁর অনুপস্থিতি দলের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।
হার্দিক পাণ্ডিয়া না থাকলে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে সূর্যকুমার যাদব বা ঈশান কিশানকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। সূর্যকুমার যাদব বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এবং মিডল অর্ডারে তাঁর উপস্থিতি দলের শক্তি বাড়াবে। ঈশান কিশান উইকেটকিপার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। অন্যদিকে, বোলিং বিভাগের ভারসাম্য বজায় রাখতে শার্দুল ঠাকুর বা অক্ষর প্যাটেলকে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। শার্দুল ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন, যেখানে অক্ষর প্যাটেল বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।
হার্দিক না থাকলে ভারত অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান বা বোলার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। হার্দিক থাকলে ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগে একটি শক্তিশালী ভারসাম্য বজায় থাকত। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে ভারতের প্রথম একাদশে রবীন্দ্র জাদেজা এবং শার্দুল ঠাকুরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কোহলি বলেছেন, “হার্দিক দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চোটের আপডেটের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে দল যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।”
ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল ওপেনিং করবেন। তিন নম্বরে বিরাট কোহলি ও চার নম্বরে শ্রেয়াস আইয়ার খেলবেন। পাঁচ নম্বরে সূর্যকুমার যাদব বা ঈশান কিশানকে রাখা হতে পারে। ছয় নম্বরে জাদেজা এবং সাত নম্বরে অক্ষর প্যাটেল বা শার্দুল ঠাকুর খেলতে পারেন। বোলিং বিভাগে জসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ থাকবেন প্রধান অস্ত্র। হার্দিক পাণ্ডিয়া খেললে মিডল ওভারে তাঁর বোলিং দলের জন্য সুবিধাজনক হবে, তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারতের পেস বিভাগে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্দিক পাণ্ডিয়া দলের অলরাউন্ড ভারসাম্যের অন্যতম স্তম্ভ। তাঁর ব্যাটিং ও বোলিংয়ের ভূমিকা ভারতের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিকল্প খেলোয়াড়রা কতটা দায়িত্ব নিতে পারবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। ভারত চাইছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটুক, তবে চীনের তরফে আগ্রাসী মনোভাব বজায় থাকলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা কঠিন হবে। জয়শঙ্করের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কোন পথে যাবে, তা নির্ভর করছে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের উপর।
ফাইনালে ভারতের ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগের ভারসাম্য বজায় রাখতে পাণ্ডিয়ার পরিবর্তে শার্দুল বা অক্ষরকে খেলানোর সম্ভাবনা প্রবল। শেষ পর্যন্ত পাণ্ডিয়ার চোট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে ভারতের প্রথম একাদশ। যদি হার্দিক খেলতে না পারেন, তাহলে ভারত ব্যাটিং অর্ডার মজবুত রাখতে এক অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান খেলানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে শার্দুল ঠাকুরের খেলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।