ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায় হোলির শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, যা দ্রুত সহিংস সংঘর্ষে পরিণত হয়। হঠাৎ শুরু হওয়া এই হাঙ্গামায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পুলিশের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত হয়ে ওঠে যে উত্তেজিত জনতা রাস্তায় নেমে একাধিক বাইক ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি, কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, তবে গুরুতর জখমের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এলাকাজুড়ে কড়া টহলদারি চালানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে ঘোডথাম্বায় হোলির শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যা ক্রমেই সংঘর্ষের রূপ নেয়। প্রথমে তর্কাতর্কি দিয়ে শুরু হলেও মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় দুই পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
খোরিমহুয়ার এসডিপিও রাজেন্দ্র প্রসাদ জানান, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের হাতে থাকলেও নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় কড়া নজরদারি বজায় রাখা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার বিমল জানিয়েছেন, সংঘর্ষে কারা জড়িত ছিল, তা শনাক্ত করার কাজ চলছে, এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট কমিশনার স্মিতা কুমারী বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে হোলির শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল, তবে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে।
হোলির দিন রাঁচিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশ জোরদার। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়, যাতে কোনও অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে। ডিআইজি এসএসপি চন্দন কুমার সিনহা নিজে নিরাপত্তা পরিস্থিতির তদারকি করেন এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দেন, যাতে কেউ সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর বা উত্তেজনা ছড়াতে পারে এমন কোনো তথ্য শেয়ার না ।
Leave a comment
Leave a comment
