পরিতোষ সাহা: বীরভূম
দশটি তাজা বোমা ও বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করল পুলিশ।শনিবার বিকালে বীরভূমের কাঁকড়তলা থানার জামালপুর গ্রামে একটি ইঁটভাটার কাছে ঝোঁপে প্লাস্টিকের বালতিতে এই বোমা গুলি লুকিয়ে রেখে ছিল।তার সাথে ছিল বোমা তৈরির মশলা।পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বোমা গুলিকে উদ্ধার করে।বোমা গুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম স্কোয়াডকে খবর দিলে, বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে।
বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়শই তাজা বোমা ও বোমা তৈরির মশলা মেলে।মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ঘটনায় বোমার আঘাতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী এই জামালপুরে অজয় নদীতে থাকা অবৈধ বালির ঘাটের বখরা ও বালির ট্রাক থেকে তোলাবাজি কে করবে তাই নিয়ে দিনে-দুপুরে চলে বোমাবাজি।বোমার আঘাতে আহত হন দুই তৃণমূল কর্মী। গ্রেফতার হন তৃণমূল কর্মী স্বপন সেন।এছাড়াও বছর বছর দুয়েক আগে ময়ুরাক্ষী নদীতে থাকা বালির ঘাট নিয়ে চলে যথেচ্ছ বোমাবাজি।সে সময় তা প্রত্যক্ষ করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।তারই নির্দেশে সে সময়ও গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা কাজল সেখ।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন।জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যথেচ্ছ ভাবে মিলছে তাজা বোমা ও বোমা তৈরির মশলা।মাঝে মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ- প্রশাসন।চলে বোমা উদ্ধার থেকে ধরপাকড়।ওই টুকুই।অভিযোগ দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার। বিধায়ক বলেন,“ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিদিনই তাজা বোমা অথবা বোমার মশলা পাওয়া যাচ্ছে।পুলিশ গিয়ে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করছে।কিন্তু গভীরে গিয়ে তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে পারছে না।কারণ,সবটাই তৃণমূল। মারছে তৃণমূল, মরছে তৃণমূল। তাই পুলিশও কিছু করতে পারছে না।বীরভূম এখন বারুদের স্তুপে দাঁড়িয়ে আছে।”অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
