আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার লড়াই শেষ করে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের সফর সম্পন্ন করে শহরে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। ঘরোয়া লিগের তুলনায় এই টুর্নামেন্টে দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা তাদের সামগ্রিক পারফরম্যান্সেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ প্রতিযোগিতার ধকল কাটাতে ফুটবলারদের জন্য দুই সপ্তাহের বিশ্রামের ব্যবস্থা করেছেন প্রধান কোচ ব্রুজো। তবে নিজে বিশ্রাম না নিয়ে তিনি সুপার কাপের প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত। বরং সুপার কাপে দলকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করার রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই স্প্যানিশ কোচ।
সুপার কাপের লড়াই শুরু ২১ এপ্রিল থেকে, যেখানে নির্ভুল পরিকল্পনা ও সঠিক কৌশল দলকে এগিয়ে রাখার চাবিকাঠি হতে পারে। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই দলকে নতুনভাবে প্রস্তুত করতে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজো। গতবার এই প্রতিযোগিতায় মোহনবাগানকে পরাস্ত করার পর ফাইনালে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল লাল-হলুদ। তখন দলের দায়িত্বে ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।
তবে সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতিও বদলেছে। বিতর্কের জেরে দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন কুয়াদ্রাত, যার পর থেকেই ইস্টবেঙ্গল নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়েছে। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারায় দলের পারফরম্যান্সেও পড়েছে প্রভাব।
দলের নতুন দায়িত্ব পাওয়া ব্রুজো জানেন, বর্তমান স্কোয়াড নিয়ে বড় প্রত্যাশা করা সহজ নয়। তবে তিনি মনে করেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসের অভাব। খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তি ও দলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ফেরাতেই তিনি মার্চের শেষ থেকে প্রস্তুতি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্রুজোর প্রধান লক্ষ্য এবার সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলকে সেরা ফর্মে নিয়ে যাওয়া। তার জন্য তিনি দলকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে চান। অনুশীলনের অংশ হিসেবে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছেন, যাতে ফরোয়ার্ডরা গোল করার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে পারে এবং ডিফেন্সের খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারে।
সুপার কাপ জেতা শুধু সম্মানের বিষয় নয়, বরং এটি পরবর্তী মরশুমের জন্য দলকে আরও শক্তিশালী করার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। সেই বাস্তবতা মাথায় রেখেই ব্রুজো কোনো সময় নষ্ট করতে চান না। তার লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব ফুটবলারদের মাঠে নামিয়ে অনুশীলন শুরু করা, যাতে তারা আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় এবং প্রতিযোগিতার জন্য পুরোপুরি তৈরি হতে পারে। ইস্টবেঙ্গলকে আবারও ট্রফির লড়াইয়ে শামিল করাই তার মূল লক্ষ্য।
Leave a comment
Leave a comment