দিল্লী তে বিজেপি সরকার আসার পর থেকেই
গত কয়েক দশকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরনের নীতি দেখেছে দেশের মানুষ। ২০২৬ এ বাংলার বিধানসভা ভোটেও কি ধর্মীয় রাজনীতির খেলা হবে? ভোটের এক বছর আগে থেকেই হুগলির চুঁচুড়ায় দুই প্রধান দলের কার্যকলাপ দেখে সেই প্রশ্নই উঠল। রবিবার সকালে জেলার সদর শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো ফ্লেক্সকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও হুগলি সাংগঠনিক জেলার সদ্য নির্বাচিত সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জির ছবি সহ বিজেপির প্রতীক চিহ্নে সেই ফ্লেক্সে লেখা ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, ২৬শে এবার বিজেপি চাই’। দলের পক্ষ থেকে ওই ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে এমন না মানলেও তার লিখনকে সমর্থন করেছেন বিজেপির সদ্য নির্বাচিত জেলা সভাপতি গৌতম। যদিও নানা ধর্মের দেশে বিজেপির এই রকম ধর্মের রাজনীতি সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা বলেই সরব হন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সোমবার সাতসকালে তাই বিভিন্ন ধর্ম গুরুদের নিয়ে মিছিল বের করেন অসিত বাবু। মিছিলের নাম ‘সর্ব ধর্ম সমন্বয় যাত্রা’। তৃণমূলের ব্যানারে আয়োজিত সেই মিছিল ঘড়ির মোড় থেকে খড়ুয়াবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। ধৰ্মগুরুদের দাবি, তাঁরা তৃণমূল না করলেও চারিদিকে যা চলছে, তার বিরুদ্ধে সরব হতেই তাঁরা তৃণমূলের মিছিলে হাঁটছেন। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের সেই মিছিলে এ দিন স্লোগান উঠে ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, ২০২৬এ দিদিকে চাই’, ‘শিখ খ্রিস্টান ভাই ভাই, ২০২৬এ দিদিকে চাই’, ‘বৌদ্ধ জৈন ভাই ভাই, ২০২৬এ দিদিকে চাই’। একদিকে বিজেপির হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই ব্যানার, অন্যদিকে তৃণমূলের সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের মিছিলে কেন দিদিকে চাই স্লোগান! তবে, কী ২৬এর নির্বাচনে ‘ধর্মীয়
খেলা হবে’ শুরু হয়ে গেল? আসিতের অবশ্য জবাব, “বিজেপি শুরু করেছে, আমরা ধর্মীয় খেলা খেলি না। সর্ব ধৰ্মই মমতা ব্যানার্জীকে চায়।”
Leave a comment
Leave a comment