সিবিআইয়ের করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়ে ফের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সুপ্রিম কোর্টে পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সিবিআই হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময়ের আবেদন জানায়। সেই আবেদন আংশিকভাবে মঞ্জুর করে আদালত ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এরপর মামলাটি পুনরায় তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি ইডির করা মামলায় জামিন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালত ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁকে জামিন দেয়। তবে সিবিআইয়ের করা মামলায় এখনও জেলবন্দি তিনি। ইডির মামলায় জামিন পেলেও সিবিআইয়ের মামলা থেকে মুক্তি এখনও অধরা। এই পরিস্থিতিতে পার্থ সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানান।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য ৪ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। তবে আদালত ২ সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেছে। বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হলফনামা জমা দিতে হবে এবং এরপর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য সম্প্রতি রাজসাক্ষী হয়েছেন। গোপন জবানবন্দিতে কল্যাণময় জানিয়েছেন, কীভাবে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামাইয়ের এই গোপন স্বীকারোক্তির পর পার্থর জামিনের সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বহু বিতর্কিত নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে, এই মামলার চূড়ান্ত রায় তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকেও প্রভাবিত করতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।