মানসিক ও শারীরিক অবনতির কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। ইডির মামলায় রেহাই পেলেও, সিবিআইয়ের মামলায় এখনও আইনি জটে আটকে রয়েছেন তিনি। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন প্রদান করেছিল। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে, গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন সুজয়কৃষ্ণ। অবশেষে আদালতের নির্দেশে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত।
তবে শুধু অন্তর্বর্তী জামিনই নয়, জামিনের শর্তের জন্য সুজয়কৃষ্ণকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে থাকতে হয়। আদালতে অভিযোগ করেন, সিবিআই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আদালতের নির্দেশের বাইরে গিয়ে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির দোতলা পুরোপুরি দখল করে কেন্দ্রীয় বাহিনী সারাদিন এসি চালিয়ে বসে আছে। ঘরের শৌচাগারও ব্যবহার করছে বাহিনী, যদিও বাড়ির নীচে শৌচাগার রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালেও তাঁর পিছু ছাড়ে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, হাসপাতালের রুমে কারা আসছেন, তারও রেজিস্টার ধরে নজরদারি করা হচ্ছে।
সোমবার আদালত সুজয়কৃষ্ণের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রায় দিয়েছে। বিচারপতি নির্দেশ দেন, বাহিনীকে বাড়ির বাইরে ত্রিপল টাঙিয়ে একটি অস্থায়ী শেল্টার তৈরি করতে হবে। সেই শেল্টারে বসার জায়গা এবং ফ্যান রাখার ব্যবস্থাও করতে হবে। আগামী ২২ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এই রায়ে স্বস্তি পেলেও সিবিআইয়ের মামলায় এখনও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি সুজয়কৃষ্ণের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে থাকায় বাড়ির গণ্ডিতেই বন্দি তিনি। আইনজটে আটকে পড়া এই মামলার পরবর্তী ধাপে কী হতে চলেছে, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
