মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডন সফর গিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। বাংলায় তিনি ফিরবেন শনিবার সন্ধ্যায়।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আমন্ত্রণ পান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যখন সেখানে যাবেন বলে ঠিক করেন তখন, মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সিপিআইএম। বিয়ার সংস্থার আমন্ত্রণে লন্ডনে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ এসএফআইয়ের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিক্ষোভ দেখালেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজের আলোচনাসভায়। এই নিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় সিপিআইএম তারপর আবার সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।
হাওড়ার বাসিন্দা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। তাই জেলা তৃণমূল কংগ্রেস প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে ‘উস্কানিমূলক মন্তব্য’ করার অভিযোগ জানিয়ে হাওড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করে। যদিও ছাত্রী দাবি করেন, কারও নাম উল্লেখ করে কিংবা হুমকি দেওয়ার জন্য এই পোস্ট করেননি। উল্টে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, উস্কানির বার্তা রয়েছে স্পষ্ট ওই ছাত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অদ্রিজা রাহা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “সিপিএম–এর দ্বারা একটা কাজ ঠিকঠাক হয় না। মাথায় গুলিটা যদি ঠিকঠাক করত, আজ এই দিন দেখতে হতো না”।
এই পোস্ট দেখে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব হাওড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আসলে, বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় হামলা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। চালানো হয় গুলি। তবে গুলি মাথায় লাগেনি। এখানে পোস্ট করা হয়েছে সেই ঘটনার কথাই। দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই হাওড়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের (সদর) সেক্রেটারি বিশ্বনাথ দাস জানান, “বাম আমলে কোনও ছাত্রী এমন মন্তব্য করলে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যেত না। সেখানে আমাদের সরকার ক্ষমতায়। তাই আইনত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই পোস্টের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। এসব কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।”
এই প্রসঙ্গে অদ্রিজা বলেন, “মালদায় যে ঘটনা ঘটেছে বা হাওড়াতে দু’তিন বছর আগে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যদি সিপিএম ঠিকমতো কাজ করত তাহলে আজকের এই দিন দেখতে হতো না। আমার ওই বক্তব্যকে জেলা তৃণমূল কী ভাবে নিয়েছে জানি না। আমি এসবের পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’”
