সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
প্রেসার,পক্স, স্ত্রীরোগ, বিভিন্ন ধরনের প্যারাসিটামল ও অ্যান্টিবায়োটিক সহ একাধিক সাধারণ রোগের ওষুধের পর এবার নকলের তালিকায় জলাতঙ্কের টিকাও। নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস হিসেবে এবার চিহ্নিত হয়েছে জলাতঙ্কের টিকা। কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জলাতঙ্কের জাল টিকা চিহ্নিত করায় দেশ জুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি, মুম্বই, আহমেদাবাদ ও লখনউতে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড থেকে জাল করা জলাতঙ্কের ইঞ্জেকশন ছড়িয়ে পড়েছে। নকল টিকার ব্যাচ নম্বর উল্লেখ করে এ ব্যাপারে শুক্রবারই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।সতর্কবার্তায় পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, জাল ইঞ্জেকশন নিলে গ্রাহকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিল সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রতিটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জাল ওষুধ কোথায়, কত রয়েছে তা অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভাল করে পরীক্ষা না করিয়ে জলাতঙ্কের টিকা যেন কেউ ব্যবহার না করেন সে ব্যাপারে জনসাধারণকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে মানুষকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত তল্লাশি চলছে। শীঘ্রই জাল টিকা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
উল্লেখযোগ্য, গুণগত মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা গোটা দেশের ১০৪টি ব্র্যান্ডের ওষুধকে গুণগত ভাবে অনুপযুক্ত বা নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস বলে চিহ্নিত করেছে । এর মধ্যে এই রাজ্যের দুটি সংস্থার ওষুধও রয়েছে। এছাড়া রাজ্যের সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে ২৭টি, রাজ্যের ড্রাগ ল্যাবে ১টি করে ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল এই নিয়ে চার দফায় ৪৯৭টি ওষুধকে গুণগতভাবে অনুপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করল। এই তালিকায় প্রেসারের ওষুধ, প্যারাসিটামলের মত সাধারণ অসুখ থেকে শুরু করে, খিঁচুনি কমানোর ওষুধ, ভিটামিন সি এর ঘাটতি থেকে খাদ্যনালীর সমস্যা সংক্রান্ত চিকিৎসা, পক্সের টিকা, বহুল প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক সবই রয়েছে এমনকী লিভারের অসুখ, স্ত্রীরোগে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধও বাতিলের তালিকায় স্থান পেয়েছে।