কাঁথির কৃষি ও সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ভোটারদের নিয়ে টানাটানির জেরে ভোটকেন্দ্রের কাছে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। শনিবার কাঁথি কার্ড ব্যাঙ্কের ৭৮টি আসনে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য ভোট দিতে আসেন। কাঁথি-এগরা মহকুমা জুড়ে মোট ১৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে।
সকাল থেকেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এলাকা কাঁথিতে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। জাতীয় বিদ্যালয়ে সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট কেন্দ্র পড়েছে। অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রের অদূরেই তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয় এবং শেষ পর্যন্ত রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে। মূল অভিযোগ, ভোটারদের স্লিপ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল একদল, আর তাতেই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ঘটনার সময় ভোট কেন্দ্রের বাইরে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, ভোটারদের যাওয়ার রাস্তায় নিরাপত্তার অভাবেই এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ভোটার ও বিজেপি কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজেপির অভিযোগ, তাদের স্লিপ বিতরণ ক্যাম্পে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশের নেতৃত্বে এই অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, যাতে ভোটদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।”
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি পাল্টা বলেন, “জাতীয় বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল। কিন্তু বিজেপি সমর্থকরা তৃণমূলকে চোর বলে উত্তেজনা ছড়ায়। তারা পরিকল্পিতভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তীব্র হয়েছে। বিরোধী এবং শাসক দলের মধ্যে দোষারোপের পালা চললেও, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা প্রশাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।