সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
স্কুল পড়ুয়াদের স্কুল ক্যাম্পাসে এবং বাইরে কুকুরদের থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এবার গাইডলাইন প্রকাশ। স্কুলে স্কুলে গাইডলাইন রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের। পড়ুয়াদের কুকুর যাতে না কামড়ায়, ব্যবস্থা নিতে হবে শিক্ষকদেরই। ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের পাশাপাশি এই অতিরিক্ত দায়িত্ব বহন করতে হবে শিক্ষকদেরই, সিদ্ধান্ত রাজ্যের। জানানো হল নির্দেশিকায়। স্কুলে প্রার্থনা সভা চলাকালীন সময় পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি করতে হবে। স্কুল পড়ুয়াদের কুকুর যাতে না কামড়ায়, তার ব্যবস্থা নিতে হবে শিক্ষকদেরই। রাস্তার কুকুরদের ওপর শিক্ষকদের নজরদারি চালাতে হবে। স্কুল ক্যাম্পাসে যাতে যত্রতত্র কুকুর ঘুরে না বেড়ায় তার ব্যবস্থাও করতে হবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জলাতঙ্ক রোগের নকল টিকা বা ইঞ্জেকশন নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস হিসেবে জাল জলাতঙ্কের টিকা চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আর তারপরেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের কুকুর কুকুর থেকে সাবধান রাখতে গাইডলাইন আকারে নিয়মাবলী প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত শিক্ষকদের ঘাড়েই স্কুল চত্বর অথবা তার আশেপাশে কুকুরদের হাত থেকে পড়ুয়াদের বাঁচানোর বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। কুকুরদের থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে যে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার তার মূল বিষয়গুলি হলো—-
কুকুরকে পাথর ছোড়া থেকে বিরত থাকতে হবে
কুকুর দেখলে অযথা দৌড়ানো
কুকুরের মুখোমুখি হলে শান্ত থাকতে হবে
প্রার্থনা সভার সময় এই গাইডলাইনগুলি প্রচার করতে হবে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে
মিড-ডে মিলের সময়ও যাতে কুকুর না আসে তার জন্য শিক্ষকদের নজরদারি করতে হবে
স্কুল ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে কুকুর না এসে পৌঁছয়
স্কুল পড়ুয়াদের স্কুল ক্যাম্পাসে এবং বাইরে সুরক্ষিত রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের, জানানো হল নির্দেশিকায়।
স্কুল পড়ুয়াদের কুকুর যাতে না কামড়ায়, ব্যবস্থা নিতে হবে শিক্ষকদেরই… জারি হল গাইডলাইন