গ্রীষ্মের প্রভাব ক্রমশ তীব্র হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। মার্চের শেষ থেকেই রাজ্যের তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী, প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রই এখন একমাত্র ভরসা। তবে এই অসহনীয় গরমের মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে পারে। ঝোড়ো হাওয়া ও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমার আশা রয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে জলকণা ঝরার পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়লেও গরমের প্রকোপ পুরোপুরি কমবে না।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানেও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের আরও কিছু জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা থাকলেও, তা স্বল্পস্থায়ী হবে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অল্প বৃষ্টিতে দাবদাহের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা কম।
এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে গরমের দাপট বজায় থাকবে, বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেশি। তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে পারে, যার ফলে গরমের প্রকোপ আরও বাড়বে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা থাকবে চরমে, সঙ্গে বাড়বে আর্দ্রতাও। ফলে গরমজনিত অসুস্থতার ঝুঁকিও থাকবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাময়িক স্বস্তি মিললেও গ্রীষ্মের তীব্রতা কাটবে না এখনই।
