আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, তীব্র দাবদাহের মধ্যে স্বস্তি আনতে পারে বৃষ্টি। আকাশে মেঘ জমার ইঙ্গিত দিয়েছিল পূর্বাভাস, যা অবশেষে বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। খুব শিগগিরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হবে বৃষ্টি। কিছু এলাকায় হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই পরিবর্তন হঠাৎ হলেও প্রত্যাশিতই ছিল। গরমের দাপট থেকে সাময়িক রেহাই মিললেও আবহাওয়া থাকবে চঞ্চল। রাজ্যবাসী তাই প্রস্তুত থাকুক এই আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য, যেমনটা পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল বুধবার।
তবে এই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলের শুরুতে বৃষ্টি হলেও মে ও জুন মাসে দাবদাহের দাপট বজায় থাকবে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, কমবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ফলে দাবদাহের প্রকোপ থেকে খুব একটা নিস্তার মিলবে না।
গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি তাপপ্রবাহ মোকাবিলার প্রস্তুতিও এখন থেকেই নেওয়া জরুরি।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে। কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় পনেরোটি জেলার আকাশ মেঘে ঢেকে যাবে। দিনভর রোদ-মেঘের লুকোচুরি চলতে পারে, কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও এই সাময়িক পরিবর্তন গরমের প্রকোপ কমাবে, তবে দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তির আশা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
তবে সাময়িক স্বস্তির খবরও রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া জলীয় বাষ্পের কারণে কখনও কখনও কালবৈশাখীর দেখা মিলতে পারে, যা কিছুটা তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। তবে সেটা গ্রীষ্মের প্রখর দহন থেকে পুরোপুরি রেহাই দিতে পারবে না। ফলে গরম মোকাবিলায় আগেভাগেই সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
Leave a comment
Leave a comment
