এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শীর্ষ আদালতের রায়ে বাতিল হওয়া চাকরির প্যানেলের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের “অযোগ্য” হিসেবে চিহ্নিত হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা এবার সরব হলেন। বুধবার মেদিনীপুর শহরের পশ্চিম মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা জানান, আমরাও নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছি, দুর্নীতির কোনও প্রমাণ এখনও নেই।
ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরাম নামক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট রায়ে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপির কথা বললেও, পৃথকভাবে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য তা নির্ধারণ করতে পারেনি। ফলে, সমস্ত চাকরি বাতিল হওয়ার পর “অযোগ্য” তকমা দেওয়া তাঁদের প্রতি অবিচার ও অসম্মান।
তাঁদের বক্তব্য, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি, অথচ মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ তাঁদের অযোগ্য বলে প্রজেক্ট করছে। এতে তাঁদের মানসিক যন্ত্রণা এবং সামাজিক অসম্মান বেড়েছে বলে অভিযোগ।
তাঁরা দাবি করেন, চাকরিহারাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে রাজনীতি করা হচ্ছে, যা একপ্রকার রাজনৈতিক চক্রান্ত। তাঁদের আরও অভিযোগ, একাধিক শিক্ষক সংগঠন নিজেরাই যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করে ভেদাভেদ তৈরি করছে, যা দুর্ভাগ্যজনক।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের প্রশংসা করেন তাঁরা। নেতাজি ইনডোরে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, কোনওভাবেই চাকরি যেতে দেবেন না। সংগঠন সেই বার্তাকে আশার আলো হিসেবে দেখছে।
ফোরামের প্রশ্ন, সিবিআই তদন্তে যদি কোনও দুর্নীতি ধরা পড়েই থাকে, তবে তা এতদিনে প্রমাণিত হল না কেন? প্রমাণ ছাড়া তাঁদের অযোগ্য বলে সমাজের সামনে তুলে ধরা একপ্রকার অপমান বলেই মনে করছেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও কটাক্ষ করেন।
সংগঠনের সাফ কথা, চাকরি ফিরিয়ে না দিলে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।
