যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে নিজেদের ঘরে বিএসএফের ক্যাম্প করতে দেবেন বলে দাবি করেছেন মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের স্থানীয় বাসিন্দারা। গত সপ্তাহে শুক্রবার, ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনের নামে রীতিমতো নির্বিচারে তান্ডব চলে,চলে হামলা। সেই হামলার ছাপ আজও রয়ে গিয়েছে গ্রামের আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলিতে। বহু মানুষ নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়েছেন। শনিবার জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে চোখের জলে ভাসলেন গ্রামের অসহায় মহিলারা।
শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা মালদহের আশ্রয় শিবিরে গিয়েছিলেন সেখানকার মানুষজনেদের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তাঁদের নাকি কথা বলতে দেওয়াই হয়নি। শুক্রবার দিনভর এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মালদহে। আর শনিবার মুর্শিদাবাদে মহিলা কমিশন পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলারার। মাটিতে শুয়ে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন অসহায় মহিলারা।
তাঁদের দাবি একটাই, স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প করতে হবে ধুলিয়ানে। মহিলাদের কথায়, “বিএসএফ ক্যাম্প করতে হবে, নাহলে আমরা বাঁচব না। দরকার হলে আমরা নিজেদের ঘর দেব ক্যাম্প করার জন্য।” ধুলিয়ানের পর এবার একই ছবি দেখা গেল দিঘরিতেও। সেখানেও মানুষজন বলেন, “মরতে যখন হবে, তখন একবারই মরব।”
তাঁদের আশ্বস্ত করে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা এদিন জানান, কেন্দ্রের সব রিপোর্ট দেবেন, তাঁরা বিএসএফ ক্যাম্পের করার কথাও উল্লেখ করবেন তাঁদের রিপোর্ট। প্রতিনিধিরা এদিন আরও বলেন, “আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। কেন্দ্রের সব টিম দায়িত্ব নিয়েছে। গোটা দেশ আপনাদের পাশে আছে। চিন্তা করবেন না।”