জেলাস্তরে মামলাসহ ওয়াকফ অশান্তির সার্বিক রিপোর্ট তলব
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তখন সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে কোন কাজে কত টাকা খরচ হয়েছে তার হিসেব-নিকেশ ( ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দ্রুত জমা করার নির্দেশ দিল নবান্ন। সীমান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার ৫০ কিলোমিটার এলাকা বিএসএফের নজরদারি অন্তর্গত। এই এলাকায় রাস্তা, আলো, ছোট সেতু, জলসহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে খরচ হয় সেই টাকার যোগান দেয় কেন্দ্র। নির্দিষ্ট খতে বা প্রকল্পে যা খরচ হয় তার নির্দিষ্ট হিসাব-নিকাশ কেন্দ্রকে পাঠাতে হয় রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু রাজ্যের একাধিক সীমান্তবর্তী জেলা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট রাজ্যের কাছে এখনো না পাঠানোয় পরবর্তী কেন্দ্রীয় অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বর্তমানে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন সমস্যা নিয়েও নানা অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ নবান্নে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সচিব আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্য সচিব মনোস্পন সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ একাধিক জেলায় যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কাছ থেকে সার্বিক রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী এই অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করে দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে অশান্তির ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির এই রিপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন। এখানেই শেষ নয়, জেলাগুলিকে মুখ্য সচিবের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে জেলা স্তরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য নবান্ন কে নিয়মিত জানাতে হবে। এ ব্যাপারে জেলাশাসকদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। যথাযথ তথ্যের অভাবে আদালতে গিয়ে মুখ্য সচিব তথা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সচিবদের বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। সে কারণেই দ্রুত ও নিয়মিত জেলাস্তরের সরকারি মামলা সংক্রান্ত তথ্য নবান্নকে পাঠাতে বলা হযেছে।