চাকরিহারা শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান ২ দিন পর। এবার নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখলেন চাকরিহারা শিক্ষকরাই। নবান্ন অভিযান কবে হবে, সেই তারিখ তাঁরা পরে জানাবেন। বলে জানালেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
এদিন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর থেকে বারবার পুলিশ-প্রশাসনের তরফে আমাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গতকাল ডিজিপি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ একাধিক আধিকারিকের উপস্থিতিতে দফায় দফায় আলোচনা হয়। সেখানে উঠে আসে, আমরা মুখ্যসচিবের সঙ্গে আপাতত আলোচনায় বসব। আমাদের বলা হয়েছে, সঠিক পদক্ষেপ করা হবে। আজ আমরা মেইল করেছি। জানিয়েছি, আমরা মুখ্যসচিবের সঙ্গে বসতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বসতে চাই।”
দেবাশিস বিশ্বাস আরোও জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই বিষয়ে সঠিক সমাধান হচ্ছে, নবান্ন অভিযান নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না তারা। শুধু ২১ এপ্রিল স্থগিত রাখা হচ্ছে নবান্ন অভিযান। সমাধান সূত্র না বেরোনো পর্যন্ত এই বিষয়ে বড় কোনো প্রস্তুতি নিয়ে নবান্ন অভিযান হবে।
সুপ্রিম রায়ে বাতিল হয়েছে এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল। চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ। ঐক্যমঞ্চের তরফে অভিযোগ করা হয়, সবাইকে পথে বসতে হয়েছে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কারণে।
সেই কারণেই, ২১ এপ্রিল ঐক্যমঞ্চ নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধিরা তিলোত্তমার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান নবান্ন অভিযানে। সায় দেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নবান্ন অভিযানে আহবান জানাতে যান ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধিরা। যদিও দেখা হয়নি সৌরভের সঙ্গে। পরে সৌরভ রাজনীতিতে জড়াতে চান না বলে জানিয়ে দেন। এই পরিস্থিতিতে আপাতত নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখল ঐক্যমঞ্চ।