স্কুলে কারা যাবেন তা ওয়েবসাইটে নয় শিক্ষা দপ্তরকে পাঠাবে এসএসসি
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নন এ ধরনের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন তালিকা জেলা স্কুল পরিদর্শকদের পাঠাচ্ছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। ইতিমধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তি জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা কমিশনারের দপ্তরের পক্ষ থেকে। এই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতেই স্কুলে স্কুলে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে। আজ রাতের মধ্যেই কারা কারা স্কুলে যাবেন এবং কারা কারা বেতন পাবেন সেই সুনিশ্চিত নাম তালিকা আজ রাতের মধ্যেই সমস্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের মেল করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকরা সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে এই সরকারি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেবেন। এর ফলে আগামী 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন সুনিশ্চিত হবে তালিকাভুক্ত শিক্ষকদের। যদিও চাকরিহারা শিক্ষকদের বক্তব্য “ছয় মাসের জন্য সাময়িক সমাধান নয় আমরা চাই স্থায়ী সমাধান।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ এসএসসির ওয়েবসাইটে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করা হবে না। চাকরিহারারা যতই আন্দোলনমুখী হোক না কেন এই সিদ্ধান্তে এখনও পর্যন্ত অনড় শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছিল যে রাজ্যের স্কুলগুলি সঠিকভাবে পরিচালনার স্বার্থে ২৬ হাজারের মধ্যে ১৭ হাজার ২০৬ জন স্কুলে বহাল রাখতে হবে। সেই মোতাবেক ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগ্যদের স্কুলে বহাল রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ১৭,২০৬ জনের মধ্যে কজন স্কুলে যাবেন আর কতজন যাবেন না তার তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু সেই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে এসএসসির পক্ষ থেকে। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন ” ১৭ হাজার ২০৬ জনের মধ্যে কারা স্কুলে যাবেন আর কারা যাবেন না সেই তালিকা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। আজ রাতেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে ওয়েবসাইটে কোনও তালিকা প্রকাশ করা হবে না।” অর্থাৎ আন্দোলনমুখী শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফের রাতভর অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে এক পা সরতে নারাজ স্কুল সার্ভিস কমিশন তথা রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।