প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মাতৃদিবস উদযাপিত হয়, আর এই বছর তা পড়েছে ১১ মে। যদিও মায়েদের ভালোবাসা, আত্মত্যাগ ও নিঃস্বার্থ সেবার কোনও নির্দিষ্ট দিনে সীমাবদ্ধ করা যায় না, তবুও বিশেষ এই দিনটিতে একটু ভালোবাসা ও যত্নের ছোঁয়ায় মায়ের মুখে হাসি ফোটানো যায়—এই চেষ্টাতেই মাতৃদিবসের তাৎপর্য।
এই দিনে মাকে কী উপহার দেবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়া খুব স্বাভাবিক। একদিকে যেমন ভালো লাগা, অন্যদিকে যেন থাকে প্রয়োজনের ছোঁয়া—এই ভারসাম্য রেখে উপহার বেছে নিতে পারেন সহজেই। নিচে রইল কিছু উপহারের প্রস্তাব, যা শুধু জিনিস নয়, মায়ের প্রতি আপনার ভালোবাসার প্রতিফলনও হবে।
১. ঘর সাজানোর সামগ্রী
আপনার মা যদি ঘরকে নিজের মতো সাজাতে ভালোবাসেন, তা হলে তাঁকে দিতে পারেন ছোট গাছ, ফুলের টব, আর্ট পিস বা হস্তশিল্পের শো-পিস। এগুলো শুধু ঘর নয়, মায়ের মনও সুন্দর করে তুলবে।
২. প্রযুক্তিপ্রেমী মায়ের জন্য গ্যাজেট
যদি মা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভালোবাসেন, তবে উপহার হিসেবে বেছে নিতে পারেন ব্লুটুথ স্পিকার, ইয়ারবাড, ফিটনেস ব্যান্ড বা ই-রিডার। এসব জিনিস মায়ের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও উপভোগ্য করে তুলবে।
৩. স্কিনকেয়ার ও মেকআপ কিট
ত্বকের যত্ন নিতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য স্কিনকেয়ার হ্যাম্পার হতে পারে আদর্শ। চাইলে ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক, ফেস পাউডার দিয়ে একটি সুন্দর মেকআপ কিটও গিফট করতে পারেন।
৪. গয়না—ঐতিহ্যের সঙ্গে স্পর্শ
মা যদি গয়না পরতে ভালোবাসেন, তবে এই দিনে তাঁকে অল্প বাজেটের কোনও সোনার গয়না উপহার দিতে পারেন। অনেক নামী গয়নাদোকানে মাদার্স ডে উপলক্ষে ছাড় থাকে, যা কাজে লাগানো যায়।
৫. ফুল, শাড়ি আর কার্ড
মায়ের পছন্দ যদি হয় ফুল, তবে সকালে উঠে তাঁর হাতে একগুচ্ছ তাজা ফুল তুলে দিতে ভুলবেন না। সঙ্গে থাকতে পারে একটি কার্ড বা প্রিয় শাড়িও। এই ছোট উপহারগুলো অনেক সময় সবচেয়ে বড় আবেগ বহন করে।
৬. সময়—সবচেয়ে বড় উপহার
সব উপহারের চেয়ে বড় হলো সময়। এই দিনটিতে মায়ের সঙ্গে একটু বেশি সময় কাটান। নিজে রান্না করুন, মায়ের প্রিয় সিনেমা একসঙ্গে দেখুন বা কাছে-পিঠে কোথাও ঘুরে আসুন।
মা-কে কাজ থেকে একদিন ছুটি দিয়ে তাঁর পাশে থাকা, হাসানো, শুনে যাওয়া—এইটুকুই মাকে দিতে পারে এক অন্যরকম আনন্দ।
শেষ কথা, মাদার্স ডে শুধু উপহারের দিন নয়, এটা কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি উপলক্ষ। একদিনের উদযাপন হয়তো মায়ের অবদানের মূল্য দিতে পারে না, কিন্তু একটুখানি ভালোবাসা, যত্ন আর উপস্থিতিই তাঁকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ করে তুলতে পারে।
