ঘটনার নেপথ্যে “ঘরের শত্রু বিভীষণ” দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি সিদ্ধান্ত হলেও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হয়নি তা নিজেই খোলসা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘটনার মদতদাতা হিসেবে নাম না করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকেই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নিজের জমিতে চাষ করার সময় গতকাল একজনকে সীমান্ত পার করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রতিবেশী দেশে। নিজের জমিতে চাষ করতে গিয়েও ওই ব্যক্তিকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। আর বিদেশি হিসেবে ওই ব্যক্তিকে যারা চিহ্নিত করেছেন তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য ,
“কে দেশি বা কে বিদেশি তা চিহ্নিত করার অধিকার কোন পার্টির নেই। ওনাকে তো ওনার জমি তে চাষ করার সময় তুলে নিয়ে গিয়েছে। আসলে যারা এই কাজ করেছে তারা ঘরের শত্রু বিভীষণ।” নিজের জমিতে চাষ করার সময় সীমান্ত পার করে তুলে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ যথাযথ জায়গায় কথা বলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাঁর কথায় , ” শান্ত ও সংযত থেকেও অনেক কাজ করা যায়। এটা তাড়াহুড়ো করার বিষয় নয়।” অযথা এই ঘটনা নিয়ে কোন জটিলতা তৈরি হোক তা চায় না রাজ্য সরকার বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।