সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
২০১৬ সালের এসএসসি প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় চাকরি হারাদের মধ্যে যারা পুরনো সরকারি চাকরি ছেড়ে এই চাকরিতে যুক্ত হয়েছিলেন তারা পুরনো চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। সবকিছু খতিয়ে রেখে তিন মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের সেই পরামর্শ অনুযায়ী চাকরিহারা শিক্ষকদের অনেকেই ফিরে যেতে চাইছেন তাঁদের পুরনো চাকরিতেই। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, পুরনো চাকরিতে ফিরতে চেয়ে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই চারশো-র বেশি আবেদন জমা পড়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।
এদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতা করতে করতেই ২০১৬ সালের এসএসসি-তে আবেদন করেছিলেন। অনেকেই এমন রয়েছেন যারা মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার পর এসএসসিতে আবেদন করেছিলেন। আবার বেশ কিছু চাকরিহারা রয়েছেন যারা চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েও চাকরিতে যোগ দেননি অথচ এসএসসি তে আবেদন করে চাকরি পেয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যুক্ত হয়েছিলেন।
এই ধরনের চাকরি-হারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা যারা সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ইতিমধ্যেই পুরনো চাকরিতে ফিরতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাদের আবেদনপত্র কতটা সঠিক বা গ্রহণযোগ্য তা যাচাই করে দেখবে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। আবেদনকারীরা সত্যি আগে কোনও সরকারি দফতরে কাজ করতেন অথবা তাদের আবেদন যুক্তিগ্রাহ্য কিনা সেগুলো যাচাই করি পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ কর্তা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জানানো হয়েছিল যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা পুরনো চাকরিতে ফিরতে চাইলে তাঁদের কোনও সার্ভিস ব্রেক হবে না ও তিন মাসের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে। যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছে কিন্তু সেই পিডিশনের উপর যথেষ্ট আস্থাশীল নন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই এই ধরনের আবেদনকারীর সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।