সপ্তাহভর কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর হাওয়া অফিসের। আজ রবিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে কোথাও কোথাও। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন সকালে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয় রাজধানী দিল্লিতে। যার ফলে বিমান পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
এক নজরে বাংলার আবহাওয়া –
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা মঙ্গলবার তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলেই কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাসে জানাচ্ছেন, এই নিম্নচাপের কারণেই সমুদ্র উত্তাল থাকবে আগামী কয়েকদিন। ফলে এই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিধেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী যারা মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছে তাদেরকেও দ্রুত নিরাপদে ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে আজ রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। বিশেষ করে নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার থেকে এই বৃষ্টির পরিমান বাড়বে।
ঝড়ে বিধ্বস্ত রাজধানী
অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিতে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত বিমান চলাচল। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪৯ টি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে ২০০ টি বিমান ঝড় বৃষ্টির কারণে প্রভাবিত হয়েছে। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির কারণে দিল্লির একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। পড়ে গিয়েছে গাছও। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় তীব্র যানজট। প্রভাব পড়েছে ট্রেন চলাচলেও।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, শনিবার রাত ১১:৩০ থেকে ভোর ৫টা ৩০ এর মধ্যে ৮১.২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সময় ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার বেগে বলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে বলেও জানানো হয়েছে।