ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের পর অন্যতম মুখ কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। প্রথমদিন থেকে তাঁর নামে দেশজুড়ে জয় জয়কার। এবার সেই সেনা আধিকারিকের পরিবারকেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রোড শো’তে। আজ সোমবার গুজরাতের ভাদোদরায় রোড শো করেন তিনি। আর সেখানেই কর্নেশ কুরেশির পরিবারকে দেখা যায়।
পাকিস্তানের মাটিতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। আর সেই তথ্য একেবারে দৃঢ় কন্ঠে দেশবাসীর সামনে পেশ করছিলেন দুই মহিলা সেনা আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। যদিও দেশের হয়ে কাজ করার পরেও বিজেপিরই এক মন্ত্রীর তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। যদিও এহেন বেফাঁস মন্তব্যে যে তিনি ক্ষুব্ধ, তা রবিবারই এনডিএ নেতাদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অপারেশন সিঁদুরের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটাই ছিল প্রথম গুজরাত সফর। ফলে রাস্তার দুপাশে জাতীয় পতাকা এবং সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ছবি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। এমনকী বিপুল মানুষের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। আর সবার হাতেই ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। আর সেখানেই ছিলেন কর্নেল সোফিয়ার বাবা তাজ মহম্মদ এবং মা হালিমা কুরেশি। ছিলেন সেনা অফিসারের যমজ বোনও।
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাজ মহম্মদ মেয়ের প্রশংসা করে জানান, ‘এখন ও দেশের কন্যা’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ খুবই গর্বের। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি দেশের হয়ে কর্তব্য করেছেন’। অন্যদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশংসা করেন মা হালিমা কুরেশিও। তিনি বলেন, এই অপারেশন “আমাদের বোনদের সিঁদুরের প্রতিশোধ” । শুধু মা-বাবাই নন, বিমানবন্দর থেকে শুরু হওয়া এই রোড শোতে কর্নেল কুরেশির যমজ বোনও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও তাঁর বোনের জন্যে গর্বিত।
ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্নেলের সাইনা শুনসারা বলেন, ‘যখন নিজের বোন দেশের জন্য কিছু করে, তখন তা কেবল আমাকেই নয়, অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করে’, তাঁর কথায়, ‘তিনি এখন আর শুধু আমার বোন নন, দেশেরও বোন’। বলে রাখা প্রয়োজন, একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে এদিন গুজরাতের ভাদোদারয় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও দুদিনের এই সফরে আরও কয়েকটি শহরে রোড শো করারও কথা আছে।
