জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে মহারাষ্ট্রে মারাঠি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও ব্যাপক বিতর্কের জেরে সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। তৃতীয় ভাষা হিসেবে আর বাধ্যতামূলক নয় হিন্দি। বরং ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে হিন্দি বা অন্যান্য ভারতীয় ভাষা বেছে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা।
বুধবার সংশোধিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মহারাষ্ট্র সরকার জানায়, রাজ্যের স্কুলগুলিতে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে ঐচ্ছিক বিষয় করা হয়েছে। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেখানে স্পষ্টতই বলা হয়েছে, মারাঠি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে তা আর বাধ্যতামূলক নয়। হিন্দির পরিবর্তে পড়ুয়ারা যদি অন্য কোনো ভারতীয় ভাষা পড়তে চায়, তাহলে তারা তা নিতে পারবেন।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, যদি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিতে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র হিন্দি ছাড়া অন্যান্য বিষয় নির্বাচন করেন, তাহলে তার জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। যদি ২০ জনের কম ছাত্র হয়, তাহলে সেই ভাষা পড়ানো হবে অনলাইনে। তবে সমস্ত স্কুলে মারাঠি ভাষা বাধ্যতামূলক রাখতেই হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
গত এপ্রিল মাসে মহারাষ্ট্র সরকার স্কুলগুলিতে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য হিন্দি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছিল। রাজ্যের এই পদক্ষেপের প্রবল বিরোধিতা করে বিরোধী শিবির মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট ও রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাও। বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষার ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলে মহা বিকাশ আঘাড়ির শরিক উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাও। ব্যাপক তরজা শেষে অবশেষে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপ থেকে সরে এল বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাদ্যুতির সরকার।