প্রায় এক বছর পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে গুজরাট পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন কুখ্যাত ইনফ্লুয়েন্সার কীর্তি পটেল ওরফে কীর্তি আদালজা। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বারবার মোবাইল ফোন ও লোকেশন বদলে আত্মগোপন করে ছিলেন এই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। অবশেষে ধোপে টিকলো না তাঁর কোনো কেরামতি, পুলিশের জালে গ্রেফতার হানি ট্র্যাপের রানি কীর্তি! ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে তাঁর।
কাপোডরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ২ জুন সুরাটের এক জনপ্রিয় বিল্ডার বজু কাত্রোডিয়াকে হানি ট্র্যাপ করে ব্ল্যাকমেল করেন কীর্তি। শুধু তাই নয়, ২ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে এই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে। এরপর কীর্তি সহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আহমেদাবাদের সারখেজ থানার একটি বাড়ি থেকে কীর্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসিপি জোন-১ অলোক কুমার জানান, অভিযুক্ত কীর্তি, বিজয় সাভানি, জাকির, জানভি ওরফে মনীষা গোস্বামী এবং তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মিলে এই মধু চক্রের জাল ছড়িয়েছিল। অভিযোগকারীর দাবি, বিজয় সাভানির সঙ্গে আগেই জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল তাঁর। মামলা কোর্টে ওঠার আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কীর্তির সহায়তায় তাঁর নামে কুৎসা রটাতে শুরু করে সাভানি।
পরে অভিযুক্ত জাকির তাঁকে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে একটি ফার্মহাউসে ডেকে পাঠায়। সেখানে জানভিও উপস্থিত ছিলেন। বিল্ডার বজু কাত্রোডিয়া সেখানে গেলে, তাঁকে মদ খাইয়ে তাঁর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তোলেন জানভি। সেইসব ছবিগুলি পরে কীর্তি ব্যবহার করে বজু কাত্রোডিয়াকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর কনটেন্ট পোস্ট করতেও শুরু করেন কীর্তি।
প্রসঙ্গত, কীর্তির কীর্তি এখানেই শেষ নয়। অতীতে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত কীর্তি পটেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় গালিগালাজ ও হুমকির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাটের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টি এফআইআর রয়েছে ইতিমধ্যেই। খুনের চেষ্টার মামলাও রয়েছে তার মধ্যে। এছাড়া আহমেদাবাদ, গান্ধিনগর, জুনাগড় ও সুরাট সহ বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু থানায় তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মদ, আইনভঙ্গ, মারধর সহ ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন কীর্তি।