ফিরল রাজা রঘুবংশী খুনের স্মৃতি! বিয়ের মাত্র এক মাস পর যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এক যুবকের। মৃতের নাম তেজেশ্বর (৩২)। ১৭ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিঞ্জ। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে একটি খালে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুনের ছক কষে হত্যা করেছে স্ত্রী ঐশ্বর্য এবং শাশুড়ি সুজাতা। ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, তেজেশ্বর পেশায় ছিলেন একজন প্রাইভেট ল্যান্ড সার্ভেয়ার ও নৃত্যশিক্ষক। চলতি বছরের ১৮ মে ঐশ্বর্যর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের এন মাসও কাটেনি, এর মধ্যেই ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। অকালেই প্রাণ গেল তেজেশ্বরের।
তেজেশ্বরের পরিবারের অভিযোগ, আগে থেকেই এক ব্যাঙ্ককর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ঐশ্বর্যর। ঐশ্বর্যর মা সুজাতা নিজেও একটি ব্যাঙ্কে কাজ করেন। পরিবারের দাবি, তেজেশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি ওই ব্যাঙ্ককর্মীর সঙ্গেও সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঐশ্বর্য। পরিবারের আরও অভিযোগ, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও হঠাতই ঐশ্বর্য নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে ফিরে এসে তেজেশ্বরের সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করে এবং বিয়ে হয় দুজনের। তবে বিয়ের পরপরই মেয়ের বাড়ির লোকজনের আচরণ স্বাভাবিক না দেখে ছেলেকে সতর্ক করেছিলেন তেজেশ্বরের পরিবার। কিন্তু পরিবারের কথা শোনেননি তেজেশ্বর।
পরিবারের দাবি, বিয়ের পর ষড়যন্ত্র করে তেজেশ্বরকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে ছিল ঐশ্বর্য ও তাঁর মা। সেই মতোই তাঁকে খুন করে দেহ খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফে এখনো পর্যন্ত পরিবারের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করা হয়নি।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডে উত্তাল দেশ। নববিবাহিত রাজা হানিমুনে গিয়ে খুন হন। তদন্তে উঠে এসেছে, এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাঁর স্ত্রী সোনম ও তার প্রেমিক! এরই মধ্যে তেজেশ্বর হত্যাকাণ্ডও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি? উঠছে প্রশ্ন।