কসবা ল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২ জুলাই কলকাতার কালীঘাট থেকে কসবা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চা। তবে সেই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। পুলিশ অনুমতি দিতে টালবাহানা করছে এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির যুব মোর্চা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়। মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে একক বেঞ্চ। মামলাটির শুনানি হবে ১ জুলাই।
রবিবার যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “ধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে চাই কিন্তু, পুলিশ বারবার আমাদের কণ্ঠরোধ করছে। শনিবারও আমাদের প্রতিবাদ মিছিলকে মাঝপথে থামিয়ে দেয় পুলিশ। এবার কালীঘাট থেকে কসবা পর্যন্ত মিছিলেও অনুমতি দেয়নি।” তাঁদের দাবি, প্রতিবাদের সাংবিধানিক অধিকারকে দমন করতে তৃণমূল সরকারের মদতে কলকাতা পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অনুমতি দিচ্ছে না। আর তাই কোনও উপায় না দেখে তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এদিন যুব মোর্চা তরফে করা এই মামলায় মূলত আবেদন করা হয়, এক, আগামী ২ জুলাই তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হোক। দুই, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক ও পক্ষপাতদুষ্ট, তা বাতিল করা হোক। তিন, সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী প্রতিবাদের অধিকার নিশ্চিত করুক আদালত। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সোমবার মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং দ্রুত শুনানির প্রয়োজন বুঝে ১ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
২৫ জুন কসবা সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইন বিভাগের এক ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। সমাজের নানা মহল থেকে ক্ষোভ উগরে পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন মিছিল, প্রতিবাদ কর্মসূচি চালালেও, বিজেপির মিছিলে অনুমতি না দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে। বিজেপির দাবি, প্রশাসন চাইছে না যে বিজেপি এই ইস্যুতে রাজপথে সরব হোক। তাই পরিকল্পিতভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, শাসক দলের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
আইনজীবী মহল মনে করছেন, এই মামলায় আদালত কী রায় দেয়, তার উপর রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিবাদ ও গণআন্দোলনের গতিপথ নির্ভর করবে। যদি আদালত যুব মোর্চার পক্ষে রায় দেয়, তবে তা হবে সরকারের বিরুদ্ধে এক বড় বার্তা।