রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই এবার শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা(এসএলএসটি) নিয়োগেও দুর্নীতির প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এমনটাই দাবি করলেন সিবিআই-এর আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে চলা শুনানিতে সিবিআই জানায়, এই দুই বিষয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। তাই আলাদা করে এফআইআর করে এই দুর্নীতির তদন্ত করতে চায় সিবিআই। তবে এখনই আলাদা করে এফআইআর করার অনুমতি দিল না আদালত।
সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী এদিন এজলাসে বলেন, “আমাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, ফিজিক্যাল এডুকেশন ও ওয়ার্ক এডুকেশনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু যেহেতু এই বিষয়গুলি এখনও আমাদের তদন্তের আওতায় আসেনি তাই এর তদন্ত করবার জন্য আলাদা করে এফআইআর করতে হবে। সেই অনুযায়ী চার্জশিটও পৃথক ভাবে জমা দিতে হবে।”
অন্যদিকে, আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,”গত শুনানিতে কমিশনকে মেরিট লিস্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এখনও তা জমা পড়েনি।”এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, “মেরিট লিস্ট আগামী ৪ জুলাই দুপুর ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে কমিশনকে। সেদিনই হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।”
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে, যেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু অনিয়ম, পছন্দের তালিকা বদল সহ একাধিক বিষয় রয়েছে। ওই সমস্ত নথি তদন্ত করে দেখতে চায় সিবিআই। তার জন্যই আদালতে পৃথক একটি এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানানো হয়। এখন দেখার বিষয়, পরবর্তী শুনানিতে আদালত এই বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়।
