নিজের সিদ্ধান্তেই বিপদের মুখে পড়তে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের পদে বসে নানা সিদ্ধান্তে বিতর্কের শীর্ষস্থানে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার সৃষ্ট সব থেকে বড় বিতর্কের সিদ্ধান্ত হল আমেরিকা থেকে অবৈধ ভাবে সে দেশে বসবাসকারী, যাদের মধ্যে ‘নেচুরালাইজড সিটিজেন’ ও রয়েছেন তাদের নিজের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো। ‘নেচুরালাইস্ড সিটিজেন তারা যারা অন্য দেশে জন্মালেও বিয়ে, জন্ম বা চাকরি সূত্রে আইনত মার্কিন নাগরিক হওয়ার অধিকার পেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে এবার প্রশ্নের মুখে স্বয়ং মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নাগরিকত্ত্ব।
প্রবাসীদের নিজের নিজের দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সেই সময় আমেরিকা জুড়ে মেলানিয়াকে নিয়ে শুরু হয়েছে এক অভিযান। ‘মেলানিয়া ডিপোর্ট’ নামে এই অভিযান শুরু করেছে ‘মুভ অন’ নামে এক সংস্থা। অনলাইন অভিযান, যাকে আমেরিকায় পিটিশনও বলা হয়েছে, সবার আগে মেলানিয়া ট্রাম্প, তার মা-বাবা এবং বেরেন ট্রাম্প কে ডিপোর্টের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ট্রাম্পকে। বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতাকেও এই অভিযানে অংশ নিতে দেখা গেছে।
পিটিশনে বলে হয়েছে, রাষ্ট্রপতি খুব শিগ্রই ‘নেচুরালাইস্ড নাগরিক’-দের দেশছাড়া করতে চলেছেন। তাহলে আইনত সবার আগে ওনার নিজের বাড়ি থেকে এটি শুরু করা উচিত। যেহেতু তার স্ত্রী মেলেনিয়া তার মা বাবা এবং বেরেন সবাই ‘নেচুরালাইস্ড নাগরিক’ তাই তাদের আগে ওদের দেশ ছাড়া করা হোক। অন্যদিকে যারা কোনো এক সময় কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা করেছেন তাদেরও মার্কিন ন্যায় দফতর দেশ ছাড়া করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
পিটিশনে দাবি করা হয়েছে মেলানিয়া ‘নেচুরালাইস্ড সিটিজেন’। পিটিশনে মেলানিয়ার জন্মস্থল ইউএসের বাইরে বলা হয়েছে। যেহেতু তাদের সন্তান বেরেন অন্য দেশে জন্মানো মহিলার সন্তান তাই তাকেও ফেরত পাঠানোর দাবি তোলা হয়েছে।
যদিও যদি প্রসঙ্গে ট্রাম্প দপ্তর তরফে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
Leave a comment
Leave a comment