সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার তোপচাঁচি থানার অন্তর্গত বেথুয়া এলাকায় একটি অবৈধ কয়লাখনির একাংশ ধসে পড়ে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, কয়েকজন শ্রমিক এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার সময় খনির ভিতরে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। খনির একটি বড় অংশ হঠাৎ করেই ধসে পড়ে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও দমকল বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)-এর একটি বিশেষ দল।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন চলছিল। বেশ কয়েক বার প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, খনিমালিক ও স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা। ঘটনার পর ধানবাদ জেলা প্রশাসক বলেন, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই দুর্ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। আহতদের চিকিৎসা এবং আটকে পড়া শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন।