ব্যস্ত শিয়ালদহ স্টেশনে রক্তারক্তি কাণ্ড। শনিবার ভরদুপুরে প্রকাশ্যে তরোয়াল নিয়ে দাপাদাপি একদল মানুষের। ধর্মীয় কারণে যাত্রীদের মাঝে জড়ো হয়ে তরোয়াল উঁচিয়ে প্রদর্শন করছিলেন তারা। আর তারই আঘাতে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হলেন এক যুবক। রক্তে ভেসে যায় প্ল্যাটফর্মের একাংশ। ভয়ে সিঁটিয়ে যান যাত্রীরা। খবর দেওয়ার অনেক পরে জিআরপি আসে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
৩নং প্ল্যাটফর্মে তখন সবেমাত্র ডাউন নৈহাটি লোকাল ঢুকেছে। প্ল্যাটফর্মে এমনিতেই ভিড়। সেই ট্রেনটিই আবার আপ কৃষ্ণনগর লোকাল ঘোষণা করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন ধরতে ভিড় বাড়ে যাত্রীদের। এরই মাঝে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। তরোয়াল উঁচিয়ে জড়ো হন একদল জনতা। আপ কৃষ্ণনগর লোকালের দিকে বেপরোয়াভাবে তারা তরোয়াল চালাতে চালাতে এগোতে থাকেন বলে অভিযোগ।
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
তরোয়ালের আঘাতে রক্তাক্ত হন এক যুবক। মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে ওই যুবকের দিদি তা বন্ধ করার চেষ্টা করলেও রক্ত পড়া থামেনি। ভয়ে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাত্রীরা পালাতে থাকেন। হুলস্থুল পড়ে যায় শিয়ালদহ স্টেশনে।
গোটা ঘটনা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের মিডিয়া ম্যানেজার পারিজাত মিত্র। বিষয়টি জানাতে জিআরপির কাছে ছুটে যান বেশকিছু নিত্যযাত্রী। যদিও বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও জিআরপি আধিকারিকরা উদাসীন থাকেন বলে অভিযোগ। দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তারা। ততক্ষণে তরোয়ালধারীরা ট্রেনে উঠে গিয়েছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, নামমাত্র তরোয়াল উদ্ধার করে চলে যায় পুলিশ। সিটের নিচে আরও তরোয়াল লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। যখন তখন বিপদ ঘটতে পারে এই আশঙ্কা থেকে রেল পুলিশকে অনুরোধ করা হলেও তারা তল্লাশি চালাননি বলে অভিযোগ যাত্রীদের। উল্টে তাড়াতাড়ি কৃষ্ণনগর লোকালকে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন তারা।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। এত বড় রেল স্টেশনে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় এই ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। এক যাত্রী বলেন, “আজ তরোয়াল নিয়েছে, এরপর কি বন্দুক নিয়ে দাপাদাপি করবে?” স্টেশন চত্বরে ও ট্রেনের ভিতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যাত্রীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে দাপাদাপির মুহূর্তের ছবি।