পুণেতে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর মোড়। পুষে থাকা রাগ থেকেই বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তরুণী। শনিবার পুলিশকে এমনটাই অভিযোগকারী নিজে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এর আগে ওই তরুণী অভিযোগ করেছিলেন, কোনও এক ডেলিভারি এজেন্ট জোর করে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। তবে শুক্রবারই পুলিশ জানায়, এরকম কিছুই হয়নি। অভিযুক্ত যুবক ও অভিযোগকারী তরুণী পূর্ব পরিচিত ও একে অপরের বন্ধু।
পুলিশের রিপোর্টে দাবি, একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল ওই যুবক-যুবতীর। বন্ধুত্বের খাতিরে তরুণীর বাড়িতে প্রায়ই আসা যাওয়া করতেন ওই যুবক। তরুণীর বাড়িতে নানা পার্সেল দিয়ে আসা থেকে শুরু করে পরিবারের অনুপস্থিতিতেও আসতেন ওই যুবক। একাধিক বার সহবাসও করেছেন তারা। গত বুধবারও এসেছিলেন ওই যুবক। সহবাসে রাজি হননি তরুণী। তবু জোর করছিলেন যুবক। পরে যুবক চলে গেলেও পুষে থাকা রাগ থেকে সটান থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে ফেলেন তরুণী। পুলিশি জেরায় এমনই স্বীকারোক্তি ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
পুলিশকে প্রথমে মিথ্যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলে এদিন স্বীকারও করে নেন তরুণী। পুণের সিপি অমিতেশ কুমার জানান, রাগ থেকেই ধর্ষণের মামলা করেছিলেন তরুণী। কিন্তু কেন তিনি এই কাজ করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ওই তরুণীর মানসিক অবস্থাও ঠিক নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বছর বাইশের ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল, এক ডেলিভারি এজেন্ট সই করানোর নাম করে ঘরে জোর করে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। ঘর থেকে পালাবার আগে অভিযুক্ত ডেলিভারি এজেন্ট নাকি তরুণীর ফোন থেকে সেলফিও তোলে ও ফিরে আসার বার্তা লিখে যায়। সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে মোড় ঘুরে যায় তদন্তের। শুক্রবার পুলিশ জানায়, “ধৃত ব্যক্তি কোনও ডেলিভারি এজেন্টই নন। জোর করে সে তরুণীর ঘরে ঢোকেনি। এমনকী তরুণীর মুখে কিছু স্প্রে-ও করা হয়নি। সেলফিও দুজনের সম্মতিতে নেওয়া হয়েছিল। এমনকি ওই ব্যক্তি বেরিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি মেসেজও তরুণী নিজেই লিখে দিয়েছিলেন।”
আরও পড়ুন