পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হল বিহারের ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা হত্যাকাণ্ডে যুক্ত মূল অভিযুক্ত রাজা ওরফে বিকাশের। জানা যাচ্ছে যে, পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন ওই ব্যক্তি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে পটনা সিটির মাল সালামিতে পুলিশ তাঁকে ধরতে যায়। অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে এনকাউন্টার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী গোপাল খেমকাকে যে বন্দুক ব্যবহার করে মারা হয়েছিল, সেই বন্দুকটি সরবরাহ করেছিল রাজা। সে মূল শ্যুটার উমেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেও জানা যায়।
মঙ্গলবার রাত প্রায় ২টা ৪৫ মিনিটে দামাইয়া ঘাট এলাকায় পুলিশের একটি দল রাজাকে ধরতে যায়। প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে রাজা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি গুলি এবং একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। রাজার দেহ পাটনার নালন্দা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ একে এনকাউন্টার বলে দাবি করলে অতীতে বার বার দেখা গিয়েছে, পুরো ব্যাপারটিই ছিল সাজানো। আদালতে কড়া প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে।
পাটনার এই এনকাউন্টার নিয়েও স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে জনমানসে। তাহলে কি পুলিশকে দিয়ে কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে?
এই অভিযানের ঠিক আগের দিন, ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা হত্যাকাণ্ডে যুক্ত সন্দেহে বেশ কয়েক জনকে আটক করেছিল পাটনা পুলিশ। এদের মধ্যে রোশন কুমার নামে একজনকে গোপাল খেমকার শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। তার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের ধারণা, খেমকার উপর হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং তাতে একাধিক ষড়যন্ত্রকারী জড়িত। তাদের মধ্যে কয়েক জন মৃত ব্যবসায়ীর গতিবিধি চোখে চোখে রাখত।
গত ৪ জুলাই রাতে প্রায় ১১টা ৪০ মিনিটে গোপাল যখন গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ঘটে পাটনার অভিজাত গান্ধী ময়দান এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মামলার মূল শ্যুটার উমেশকে সোমবার পটনাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও সে বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
বিহার বিজেপির নেতা নীরজ কুমার অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য এক রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘গোপাল খেমকা হত্যাকাণ্ডের শ্যুটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনির পেছনে এক রাজনৈতিক নেতার হাত রয়েছে। বুঝতে পারছেন তো, বিহারের জন্য কারা বিপজ্জনক?’ গোপাল খেমকা মামলায় কি এ বার লাগবে রাজনৈতিক রঙ? উঠছে প্রশ্ন।
