পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই পরের বছর মে মাসে কেরলেও বিধানসভা নির্বাচন। সে রাজ্যে বর্তমানে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এলডিএফ) সরকার। সিপিএম শীর্ষনেতা পিনারাই বিজয়ন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আর কত দিন? বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে সমীক্ষা বলছে অন্য কথা। বামেদের সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। আর সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। সমীক্ষা অনুযায়ী, ভোটারদের সিংহভাগ শশীকেই বেছে নিচ্ছেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
নিরপেক্ষ সংস্থা ‘ভোট ভাইব’ কেরলের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। সেখানে দেখা যায়, ২৮.৩ শতাংশ উত্তরদাতাই শশী থারুরকে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ পুরুষ ও ২৭ শতাংশ মহিলা থারুরের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রবীণ উত্তরদাতাদের মধ্যে ৩৪.২ শতাংশ থারুরকে মুখ্যমন্ত্রী চান। আবার ১৮-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২০.৩ শতাংশ থারুরের পক্ষে। কেরলের তিরুঅনন্তপুরম আসনের চার বারের সাংসদ শশী। যদিও বর্তমানে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক তাঁর।
ভারত পাকিস্তান উত্তেজনার পর বিদেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের একটির নেতৃত্ব ছিলেন শশী। মোদীর একাধিক নীতির প্রশংসাও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর তারপর থেকেই কংগ্রেসের চক্ষুশূল হয়েছেন। তবে তারও আগে কেরলের বাম সরকারের শিল্পনীতির প্রশংসা করে কংগ্রেসের বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার কার্যত বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে জরুরি অবস্থা নিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে থারুরকে।
আরও পড়ুন
এদিন থারুর লেখেন, ‘জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী মানসিকতা আমজনতার জীবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছিল। আজকের ভারত অন্তত ১৯৭৫-এর ভারতের মতো নয়। ইন্দিরার সময় গণতন্ত্রের সব স্তম্ভকে মৌন করে রাখা হয়েছিল। বিচার বহির্ভূত হত্যা আকছার ঘটত।’ দলের সাংসদের এ হেন মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, ভোট ভাইবের ওই সমীক্ষায় কেরলের শাসকদল এলডিএফের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলাজার নাম। কোভিড অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন।