লর্ডস টেস্টে কেরিয়ারের ৩৭তম টেস্ট শতরান পূর্ণ করে সচিন তেন্ডুলকরের আরও একটু কাছে পৌঁছেছেন জো রুট। এ দিকে এই শতরান নিয়েই একটি মজাদার তথ্য জানালেন ইংরেজ ব্যাটার। টেস্টের প্রথম দিন ৯৯ রানে অপরাজিত রয়ে গিয়েছিলেন তিনি। টেনশনে সে রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সক্কাল সক্কাল ৩৭তম শতরান পূর্ণ করার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রুট।
৩৭তম শতরান হাঁকিয়ে টেস্টে সর্বাধিক শতরানের তালিকায় প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়েছেন জো রুট। সচিন তেন্ডুলকরের ৫১ সেঞ্চুরির রেকর্ড থেকে এই মুহূর্তে ১৪ ধাপ দূরে। কিন্তু তারপরেও দিনের শেষে ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে থাকা যে কতটা অসহনীয় ছিল সে কথাই সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন রুট। তাঁর কথায়, “শোয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুম ভেঙে যায়। বাকি রাতটা আর ঘুম হয়নি। শুধু ভাবছিলাম, পরের দিন কীভাবে শুরু করব। আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম শতরান পূরণ করার বিষয়টি শুধু আমার ওপর নির্ভর করছে না।”
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
চলতি লর্ডস টেস্টের আগে ৩৬টি শতরান করে ফেলেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতাও যে এক্ষেত্রে কাজে লাগেনি তা ইংরেজ ব্যাটারের মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার। শুক্রবার অবশ্য দিনের শুরুতেই নিজের কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্ক অর্জন করে ফেলেন রুট। কিন্তু বুমরাহ্’র সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সে প্রসঙ্গে বলেন, “আমি একটু হতাশ। হয়ত সেই সময় একটু বেশিই তৃপ্ত হয়ে পড়েছিলাম। বলটা অবশ্যই ভাল ছিল। তবে আমি ঠিক করে খেলতে পারিনি। আরেকটু চেষ্টা করা উচিত ছিল।”
তেন্ডুলকরের কাছে পৌঁছতে পারুন বা থেমে যান দু’কদম আগে, রুটের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্নের জায়গা নেই। বাজবলের জোয়ারে এক সময় এই কিংবদন্তি ইংরেজ ব্যাটারের ব্যাট করার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কিন্তু সেরার সেরাদের মতোই বরাবর ব্যাটে জবাব দিয়েছেন রুট। ভাল বোলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিকূল আবহাওয়ায় রুটের এই রূপকথার মতো ইনিংস চোখে আঙুল দিয়ে আসলে দেখিয়ে দিল বাজবলের খামতিকে, এ রকমও মনে করছেন অনেকে।