পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে দুই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। দুজনকেই খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, এই ঘটনা সন্দেহের। ফলে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার খেজুরি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন আগেই মহরম গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি খেজুরি থানা এলাকার ভাঙনমারি এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা খবর, তা দেখতেই যান সুজিত দাস এবং সুধীর চন্দ্র পাইক। পরিবারের অভিযোগ, যেখানে এই অনুষ্ঠান চলছিল তার থেকে কিছুটা দূরে সুজিত এবং সুধীরের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দাবি, দুজনের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটেছে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
যদিও পরিবারের দাবি, দুজনের দেহেই একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীও সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ মৃতদেহে চোটের চিহ্ন এবং মুখে রক্তের দাগ দেখা গেছে, যা এই মৃত্যুগুলোর পেছনে সন্দেহজনক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়’। ইতিমধ্যে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনা পুলিশের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই শনিবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, খুন যে করা হয়েছে, তা স্পষ্ট। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। একই সঙ্গে আজ শনিবার জেলাজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ডাক দেন। একই সঙ্গে আগামী সোমবার বনধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের ডাকে সোমবার খেজুরিতে বনধ পালন করা হবে। একই সঙ্গে মহামিছিলেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই মিছিলে শুভেন্দু অধিকারীও থাকবেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। ঘটনায় বিজেপিকে একহাত নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। নেতৃত্বের দাবি, নিছক দুর্ঘটনা, আর তা রাজনৈতিক হাতিয়ার করছে বিজেপি। অন্যদিকে ঘটনার পরেই এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ আধিকারিকদের।
