বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি খানাকুলে! বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এমনকী আরামবাগ-গড়েরঘাট রাজ্যসড়কে বেড়েছে জল। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে সাধারণ মানুষ। জানা যাচ্ছে, মাড়োখানা পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকায় রবিবার থেকেই জল বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে বনহিজলি, হানুয়ার মতো এলাকাগুলিও সম্পূর্ণভাবে জলের তোলায় ডুবে গিয়েছে। ওই এলাকার রাস্তাঘাট তো বটেই, স্কুলও একেবারে জলে ডুবে গিয়েছে। যার জেরে আপাতত বন্ধ রয়েছে পড়াশোনাও।
গ্রামের ভিতরের রাস্তায় কোমর সমান জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষকে। এমনকী গ্রাম্য এলাকায় পোশাক পরিবর্তন করতে হলেও বাড়ি থেকে জল পেরিয়ে উঁচু জায়গায় আসতে হচ্ছে। অন্যদিকে চাষযোগ্য জমিতেও একেবারে হাটুজল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাড়োখানা, ধলডাঙা, বারনন্দনপুরে বিঘার পর বিঘা সব্জি চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। বহু বাড়ির এক তলায় ঢুকেছে জল। এর জেরে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই খানাকুলের উপর দিয়ে যাওয়া রূপনারায়ণ, মুণ্ডেশ্বরী নদী সহ বিভিন্ন শাখা খালের জল বিপদসীমা দিয়ে বইছে। এই অবস্থায় এলাকায় আরও জল ঢুকলে কি হবে? সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের। ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে খানাকুলে।
বিশেষ করে ডিভিসি যদি আরও জল ছাড়ে, তাহলে বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে আবহাওয়া দফতরের বৃষ্টির পূর্বাভাস। আজ সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতেই উদ্বেগ আরও বাড়ছে খানাকুলে।