আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলায় চ্যালেঞ্জ করলেন গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াকে। তাঁর দাবি, গোটা তদন্ত অনুমাননির্ভর, অপরাধে তাঁর সরাসরি জড়িত থাকার কোনও পাকা প্রমাণ নেই।
সঞ্জয়ের আইনজীবীর বক্তব্য, সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে ৪টা ৩ মিনিট থেকে ৪টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত হাসপাতালের তিনতলায় দেখা গেলেও অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সংযোগ তদন্তকারীরা প্রমাণ করতে পারেনি। ওই তলায় একাধিক প্রবেশপথ থাকলেও শুধুমাত্র সঞ্জয়ের প্রবেশাধিকার ছিল বলে ধরে নিয়েছে তদন্তকারী দল। এটিকে ভিত্তিহীন এবং অনুমান নির্ভর বলেই দাবি তাঁর পক্ষের।
এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি হেডফোনের সঙ্গে সঞ্জয়ের ফোনের যোগসূত্র দেখানো হলেও, সেই ফোন সিজার হওয়ার আগেই পুলিশের হেফাজতে ছিল বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়। পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হয়নি বলেও অভিযোগ।
এই মামলায় নিম্ন আদালতের রায় অনুযায়ী, সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসে দণ্ডিত করা হয়েছে। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ জুন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। আগামী ১৬ জুলাই বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবার অবশ্য সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করেনি। বরং তাঁদের মতে, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে, যাদের সন্ধান পেতে সঞ্জয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট ঘটনার এক বছর পূর্ণ হবে। তার আগে ফের প্রতিবাদে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ফের প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।