নারী সুরক্ষায় কাঠগড়ায় ওড়িশা। এক ১৫ বছরের নাবালিকাকে পেট্রল ঢেলে জীবন্ত পোড়ানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরী সহ গোটা ওড়িশা জুড়ে। জানা গেছে পুরীর বালাঙ্গা জেলার বায়াবার থানা এলাকায় শনিবার ভোররাতে ওই নাবালিকাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রথমে পিপলি সরকারি হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভুবনেশ্বর এইমস-এ ভর্তি করা হয়।
এইমস ভুবনেশ্বর হাসপাতালের বার্ন বিভাগের প্রধান ডা. সঞ্জয় গিরি জানিয়েছেন, নাবালিকার শরীর ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা সঙ্কটজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। ১২ জন ডাক্তার এবং ২ নার্সিং আধিকারিকের একটি কমিটি গঠন করে তার চিকিৎসার তদারকি করা হচ্ছে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
পিপলি উপ-বিভাগীয় পুলিশ আধিকারিক(এসডিপিও) দেবাশিস মিশ্র জানিয়েছেন, ১৯ জুলাই অর্থাৎ শনিবার সকালে নাবালিকা নিজের এক বান্ধবীর বাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীকে খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। নাবালিকা যেহেতু এখন বলার অবস্থার নেই তাই তদন্ত অন্যভাবে এগোচ্ছে।
ঘটনায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, দোষীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আমার হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ পাওয়ার পর নাবালিকাকে দিল্লির এইমস-এ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওড়িশার উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা মহিলা এবং শিশু বিকাশ মন্ত্রী প্রভাতী পারিদা এই ঘটনায় চিন্তা ব্যক্ত করে বলেন, ঘটনাটি বেদনাদায়ক। সরকার মেয়েটির চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে।
আরও পড়ুন
অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিরোধীদের নিশানায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি সরকার। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক টুইট করে লিখেছেন, এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। বিজেপি সরকার মহিলাদের সুরক্ষার ঢাক পেটাচ্ছে অথচ এ রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। প্রতিদিন মহিলাদের বিরুদ্ধে এমন ঘটনার দায় মাঝি সরকার এড়াতে পারেন না।