নানান বিতর্কে একাধিকবার দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন কংগ্রেস পার্ষদ শশী থারুর। দলে আছেন কি নেই, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এই জল্পনার মাঝে শনিবার ফের বিতর্কে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা ও তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। কেরলের কোচিতে ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও জাতীয় উন্নয়ন’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘দেশ আগে দল পরে। রাজনৈতিক দল আসলে একটা মাধ্যম মাত্র, যার সাহায্যে আমরা দেশকে আরও উন্নত করতে পারি।’
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
থারুরের এই মন্তব্যের পরে স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কী কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত পাট চোকাতে চাইছেন শশী? পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার পথ প্রস্তুত করতে চাইছেন কী ? কারণ সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপির সরকারে নানা মন্তব্যের ও সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। সেই বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে এদিন বলেন, ‘অনেকেই আমার সমালোচনা করছেন, কারণ আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। দেশের ভেতরে এবং সীমান্তে সম্প্রতি যা ঘটেছে, সেই প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, এটাই দেশের পক্ষে ঠিক সিদ্ধান্ত। তাই আমি নিজের অবস্থানে অনড় থাকব।’
তারুরের কথায়, ‘আপনার প্রথম আনুগত্য কার প্রতি হওয়া উচিত? আমার মতে, দেশ সবার আগে। দল হল একটা উপায়, যার মাধ্যমে আমরা দেশকে আরও ভাল রাখতে পারি। প্রত্যেক দলেরই নিজস্ব ভাবনা আছে দেশের উন্নয়নের পথে এবং তারা তাতে দ্বিমত পোষণ করতেই পারে।’
অনুষ্ঠানে এক ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস নেতৃত্বের সম্পর্কে থারুরের সাফ জবাব, ‘অনেকেই আছেন, যাঁরা দলের মূল্যবোধ এবং আদর্শকে শ্রদ্ধা করেন এবং সেই কারণেই দলে রয়েছেন। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য দলের সঙ্গে সহযোগিতা করাও জরুরি। অনেক সময় দল এই ধরনের অবস্থানকে অবিশ্বাস্য বা বিরোধিতা বলে ধরে নেয়। এখানেই মূল সমস্যা তৈরি হয়।’
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে চাকরি ছেড়ে শুধুমাত্র দেশের সেবা করার উদ্দেশ্যেই ফিরেছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে হোক বা বাইরে থেকে, তিনি সেই কাজই করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গত ১৬ বছর ধরে আমি সর্বসমক্ষে ‘সমন্বিত উন্নয়ন’-এর কথা বলে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এরপর নিজের এক্স হ্যান্ডলে -এ নেহেরুর প্রসঙ্গ টেনে লেখেন, ‘জাতীয় গুরুত্বের মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলির একজোট হওয়া উচিত। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কথাটি না বলেই নয়, ‘ভারত যদি মারা যায়, তবে বাঁচে কে?’